শনিবার, ০১ Jun ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জিয়া ছাড়া কোনো সেক্টর কমান্ডার যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন না: মির্জা আব্বাস দুবাই নিয়ে তরুণীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি আবার চালুর ঘোষণা, চলবে যত দিন ‘অল আয়েস অন রাফা’ : বিশ্বজুড়ে যা প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক শেয়ার করছে মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বনই সরকার রাখেনি : রিজভী রোহিঙ্গাদের নিয়ে করা আশঙ্কার আলামত দেখা যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হতো এমন ১৪৮ অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়েছে ফেসবুক পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ শব্দ মুছে ফেলা দুঃখজনক : মোমেন পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয় : ওবায়দুল কাদের রাত ১২টায় বন্ধ হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, বিমানবন্দরে আটকা হাজার হাজার কর্মী
বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

বরিশাল ও খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু

স্বদেশ ডেস্ক:

বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী এই দুই সিটিতে ভোটের লড়াইয়ে আছে। দুটি সিটি নির্বাচনের কোনটিতে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। দুটি সিটিতে সব ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে।

বরিশালে মেয়র প্রার্থী মোট সাতজন এবং খুলনায় মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই চলছে।

বরিশালে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
খুলনায় মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন; নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

বরিশালে মোট ভোটকেন্দ্র ১২৬টি, এবং খুলনায় ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি।

ভোট দিলেন তালুকদার খালেক
খুলনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ভোট দিয়েছেন
সোমবার সকাল ৯টার কিছু পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ভোট দেন।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক গতবার নগরবাসীর কাছে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এবারেও ৪০ দফা কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী ভোট দিয়েছেন
বরিশালের আবদুর রব সেরনিয়াবাদ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পরেই ভোট দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী ফয়জুল করীম।

ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “শুরুটা ভালো, পরিবেশ ভালো, কোন জায়গায় কোন ঘটনা শুনিনি। কাউনিয়ায় আমাদের এজেন্টকে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল তবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলার পর তারা সেটা সমাধান করেছে।”

তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সব ভোটারদের যেন ভোট দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। এবং ফলাফল যেন কোন অবস্থাতেই কারচুপি করা না হয়। নির্বাচন কমিশন যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন সেভাবেই যেন ফলাফল দেয়া হয়।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যেকোন ফলাফল মেনে নেয়ার কথা জানান তিনি।

লাঙলের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। গোরস্থান রোড মাদরাসা কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।

এবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৫ জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খুলনা মহানগরীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার থেকে তারা ভোট কেন্দ্রসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টহল শুরু করেছে। খুলনা বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান জানান, কেসিসি নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে ২০ জন করে মোট ২২০ জন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি দলে ৪ থেকে ৫ জন অফিসার দায়িত্বে রয়েছেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাতজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।

এবার বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। সিটি নির্বাচনে এবার নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।

এই সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমন্বিত টহল শুরু করেছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। শনিবার সকাল থেকে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে এসব বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সড়কের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করা হচ্ছে তল্লাশি। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজার ৪ শ’ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার ৩ শ’ জন পুলিশ। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি ও অন্যান্য

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877